হজে গিয়ে সৌদিতে ৩০ বাংলাদেশির মৃত্যু
হজ পালন করতে গিয়ে চলতি বছর সৌদি আরবে এ পর্যন্ত ৩০ জন বংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন এবং বাকি ১৩ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর।
হজযাত্রীদের মৃত্যুর বিষয়ে হজ অ্যাসোসিয়েশনের অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, সৌদিতে এখন পর্যন্ত ৩০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৭ জনের তথ্য সৌদি সরকার অফিসিয়ালি ঘোষণা করেছে। বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ সম্পর্কিত বুলেটিনে ২৭ হজযাত্রীর মারা যাওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তিনজনের খোঁজ মিলছে না বলে তাদের সঙ্গে থাকা মুয়াল্লিম এবং পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম।
তিনি বলেন, তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন এটা জেনেছি, কিন্তু এখনো সৌদি সরকার ঘোষণা করেনি।
মৃত হজযাত্রীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০০, নিখোঁজ অনেকে তীব্র গরমেও এসি অবকাঠামোয় ঢুকতে পারেননি অনুমতিবিহীন হজযাত্রীরা!
হাব সভাপতি বলেন, নিখোঁজ তিনজন মারা গেছেন বলে তাদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি আমাকে নিশ্চিত করেছে।
এদিকে হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, মারা যাওয়া (অফিসিয়ালি ঘোষিত ২৭ জন) হজযাত্রীদের মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ২০ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় দুজন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।
অন্যদিকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- ঢাকার বংশালের মনির হোসেন (৫৯), কিশোরগঞ্জের ফাতেমা ইয়াসমিন (৫৩), পিরোজপুরের নার্গিস (৬০), ঢাকা নিউমার্কেটের আমিনুল ইসলাম (৬৫), নোয়াখালীর মোয়াজ্জেম হোসেন (৬৮), রংপুরের সিদ্দিকুর রহমান (৪৮), ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিক তোফাজ্জল হক (৭০), ঢাকা মোহাম্মদপুরের রওশন আরা বেগম (৭২), বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার রেজাউল করিম মন্ডল (৬১), টাঙ্গাইল সদরের আলমগীর হোসেন খান (৭৩)।
হজ ডেস্কে তথ্যমতে, হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে গত ১২ জুন বুধবার সৌদিতে দুজন মারা যান। তারা হলেন- মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২)। তাদের বাড়ি যথাক্রমে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ।
আর এ বছর হজ পালন করতে গিয়ে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গত ১৫ জুন মারা যান নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান নামে এক হজযাত্রী।
মারা যাওয়া অন্য হজযাত্রীরা হলেন- মো. ভোলা জেলা মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলা মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলা চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধা জেলা গোবিন্দপুর উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাহজাদ আলী (৫৫) এবং রংপুরে তারাগঞ্জের গোলাম কুদ্দুস (৫৪)।
watch more click here